TOP ছাদ বাগানের ড্রাগন গাছ SECRETS

Top ছাদ বাগানের ড্রাগন গাছ Secrets

Top ছাদ বাগানের ড্রাগন গাছ Secrets

Blog Article

ড্রাগন ফল চাষের ক্ষেত্রে সেচ এর ব্যবস্থা উত্তমভাবে রাখতে হবে। ড্রাগনফল অত্যধিক জনবর্ধতা সহ্য করতে পারে না। গাছের গোড়ায় বেশি পানি থাকলে পচন ধরে যায়। শুষ্ক মৌশুমে মাসে ২ বার সেচ দিতে হবে।

আমাদের দেশে এমন অনেক ব্যবসায়ী ভাইরা আছেন যারা তাদের বাড়ির সামনে/ বাডির ছাদের অল্প ফাঁকা অংশটুকু কাজে লাগিয়ে সুন্দর বাগান তৈরি করেন।

আমরা সবাই জানি যে মানি প্ল্যান্ট উপরে উঠতে ভালোবাসে। এর জন্য, আমরা প্লাস্টিক বা বাঁশের খুঁটি যুক্ত করতে পারি। এই খুঁটিকে অবলম্বন করে গাছটি যথাযথভাবে বেড়ে উঠতে পারবে। আপনি এটিতে দড়ি যোগ করতে পারেন যাতে এটি চারপাশে ঘূর্ণায়মান হয়। আপনি ডালপালা বেঁধে রাখতে পারেন যতক্ষণ না এটি চূড়ায় পৌঁছায়। সুতরাং, গাছটিকে সঠিকভাবে উপরে উঠতে সাহায্য করা হল মানি প্ল্যান্ট দ্রুত বৃদ্ধির আরেকটি উপায়।

ড্রাগন ফল, এটি কোনো সিনেমা কিংবা চলচিত্রের সাজানো গল্প অথবা চরিত্রের নাম নয়। ড্রাগন ফলের উপকারিতা পেতে হলে ফল খেতে হবে ভুলবশত সিনেমা দেখলে হবে না। সুস্বাদু এবং বিদেশি ফল হওয়ায় বর্তমানে মানুষেদের কাছে আগ্রহের এবং আকর্ষিত ফলের তালিকায় ড্রাগন ফল অন্যতম। স্বাদে এবং উপকারিতায় উক্ত ফলটি অন্যান্য ফল থেকে অনেক এগিয়ে। যদিও ফলটি ভিনদেশি ছিল এতোদিন তবে এখন বাংলাদেশেও প্রচুর চাষ হয় ড্রাগন ফলের। ২০১৮ সালের জুলাই মাসের শেষ ‍দিকে বাজারে প্রথম ড্রাগন ফল এসেছে। বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে প্রচুর ড্রাগন চাষ হচ্ছে ড্রগন বাগানে।

ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার সহজ উপায়

সোনালি মুরগির ডিম উৎপাদন বাড়াবেন যেভাবে

গর্তপ্রতি সারের মাত্রা ও সার ব্যবস্থাপনা ড্রাগন ফলের চারা রোপণের জন্য ২০-৩০ দিন আগে প্রতি গর্তে ৪০ কেজি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপি ১০০ গ্রাম করে এবং জিপসাম, বোরাক্স ও জিঙ্ক সালফেট ১০ গ্রাম করে দিয়ে গর্তের মাটি ওপরে-নিচে ভালোভাবে মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। সার দেওয়ার ২০ থেকে ৩০ দিন পর গাছ লাগানো যাবে। এর পর প্রতিবছরে গাছের জন্য ৪০ কেজি পচা গোবর ঠিক রেখে ইউরিয়া ৫০ গ্রাম, টিএসপি ও এমপি ১০০ গ্রাম করে এবং জিপসাম, বোরাক্স ও জিঙ্ক সালফেট ১০ গ্রাম করে বৃদ্ধিহারে প্রয়োগ করতে হবে। ক্যাকটাস গোত্রের গাছ বিধায় বছরের যেকোনো সময়ই লাগানো যায়; তবে এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে লাগানো ভালো। কাটিং করা কলমপ্রতি গর্তে ৪-৫টি করে লাগানো হয়। পিলারের চারদিকে কাটিং করা কলম চারা লাগিয়ে পিলারের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওপরের দিকে ছোট মোটর গাড়ির (মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার) চাকা বাঁশের চাগারের মধ্যে সেট করে খুব সহজেই এ গাছের শাখাগুলোকে বাড়তে দেওয়া যায়। দুই খুঁটি পুঁতে মোটা তারের ওপরে জাংলার মতো তৈরি করে গাছ জাংলায় তুলে চাষ করা হয়।

শুধু মাত্র সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ফোন করুন

ড্রাগন ক্যাকটাস জাতীয় বহুবর্ষজীবী এবং চিরহরিৎ লতানো প্রকৃতির। এই গাছের কোন পাতা নেই, শুধুই রাপান্তরিত কান্ড। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারনত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ফল বড় আকারে হয়, কিছু ফলের বাইরের অংশ লাল রঙের হয় আবার কিছু হলুদ রঙের হয়। পাকলে খোসার রং লাল হয়ে যায় বা গাঢ় হলুদ বর্নের হয়ে যায় , কিছু শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, লাল ও সাদা রঙেও হয় এবং ফালগুলি রসালো প্রকৃতির। ফলের শাঁসের মধ্যে ছোট ছোট অসংখ্য কালো রঙের বীজ থাকে এবং সেগুলি নরম। এক একটি ফলের ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। টেবিল ফল হিসাবেই শুধু নয়, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এই ফল থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া জাত খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয় যার বানিজ্যিক চাহিদা প্রচুর। ড্রাগন ফল থেকে জ্যাম, আইসক্রিম, জেলি উৎপাদন, ফলের রস,ওয়াইন ইত্যাদি তৈরীতে ব্যাবহৃত হয়। একবার রোপণের পর অন্তত কুড়ি বছর ধরে এর ফল পাওয়া যায়। রোপণের দ্বিতীয় বছর থেকেই ফলন শুরু হলেও পাঁচ বছরের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়।

পুষ্টিমূল্য : ড্রাগন ফলের ১০০ গ্রামের মধ্যে ৫৫ গ্রাম থাকে ভক্ষণযোগ্য। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে থাকে পানি ৮০ থেকে ৯০ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৯ থেকে ১৪ গ্রাম, প্রোটিন ০.১৫ থেকে ০.৫ গ্রাম, চর্বি ড্রাগন ফল গাছের যত্ন ০.১ থেকে ০.৬ গ্রাম, আঁশ ০.৩ থেকে ০.৯ গ্রাম, অ্যাশ ০.৪ থেকে ০.৭ গ্রাম ও ক্যালরি ৩৫ থেকে ৫০। এ ছাড়া খনিজ ও ভিটামিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো­ ক্যালসিয়াম ৬-১০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৩-০.৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৬-৩৬ মিলিগ্রাম, নায়াসিন ০.

নিয়ম অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে । ড্রাগন চাষীদের সুবিধার প্রেক্ষিতে নিম্নে ড্রাগন ফল চাষ করার ক্ষেত্রে সার প্রয়োগের একটি চিত্র তুলে ধরা হলো-

হ্যা, বেলে দোঁয়াশ মাটি সহ প্রচুর সূর্যালোক পাই তেমন স্থানে গাছ রাখতে হবে তবে সরাসরি মাটিতে ড্রাগন ফল গাছ ভাল হয়। ড্রাগন গাছ টবে করবার জন্য গভীর এবং বড় মাপের পাত্র নির্বাচন করতে হবে।

ক্রমবর্ধমান ঋতুতে (বসন্ত এবং গ্রীষ্ম) মানিপ্ল্যান্ট গাছগুলি নিয়মিত নিষেকের মাধ্যমে উপকৃত হয়। এই সময়ে গাছগুলিতে ২ সপ্তাহে একবার সুষম, জল-দ্রবণীয় সার ব্যবহার করতে হবে। মানিপ্ল্যান্ট এর বৃদ্ধির হার পটের আকৃতির উপর নির্ভর করে। তরল জৈব সার বা গোবর সার অথবা কলার খোসা, ডিমের খোসা প্রভৃতি দিতে পারেন। ডিমের খোসা, ইপসম লবণ এবং বেকিং সোডা এর বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী।

বিভিন্ন ফসল এবং জাত আলোচনা / প্রশ্নোত্তর

Report this page